কিভাবে বুঝবেন মেয়ে কুমারী কি না?
অনেকের বিশ্বাস যে শুধুমাত্র চোখের দেখা বা শারীরিক লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব একজন মেয়ে কুমারী কি না, কিন্তু এ ধরনের ধারণাগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুল। কেউ কেউ মনে করেন, সতীচ্ছেদ (হাইমেন) অক্ষত থাকলে মেয়েটি কুমারী, আবার কেউ কেউ কোমরের আকার দেখে কুমারীত্ব নির্ধারণের চেষ্টা করেন। এছাড়াও মহিলাদের শারীরিক গঠনের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন মিথ প্রচলিত রয়েছে।
প্রথমেই স্পষ্ট করা জরুরি যে, সতীচ্ছেদের সাথে কুমারীত্বের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। যৌনতার সময় কখনও হাইমেন ছিঁড়তে পারে, যা সামান্য ব্যথা বা রক্তপাতের কারণ হতে পারে। কিন্তু হাইমেন ছিঁড়ে যাওয়ার আরও অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন সাইক্লিং, খেলাধুলা, বা অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ। আবার এমনও হতে পারে, যৌনসম্পর্কের পরেও কারও হাইমেন অক্ষত থাকে।
যেহেতু সতীচ্ছেদ দেখেই কুমারীত্ব নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, তাই শারীরিক লক্ষণ দেখে বোঝা আরও বেশি অসম্ভব। সরাসরি বলতে গেলে, কোনো মহিলার কুমারীত্ব তার বাহ্যিক চেহারা দেখে নির্ধারণ করা যায় না।
ভার্জিনিটি নিয়ে আরও কিছু মিথ প্রচলিত আছে, যেমন—বলা হয়, একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে সব মহিলার কুমারীত্ব হারানো উচিত তাদের সুস্থতার জন্য, কিন্তু এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। যৌনতা এবং সুস্থতার মধ্যে একটি সম্পর্ক থাকলেও, তা কখনোই বোঝায় না যে যৌন সম্পর্ক ছাড়া কেউ সুস্থ থাকতে পারবে না।
কিছু মিথে বলা হয়, কুমারীত্ব হারানোর পরে মহিলাদের শরীরের গঠনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে, যা সঠিক নয়। এছাড়া, কুমারীত্ব হারানোর পর মহিলাদের মধ্যে লজ্জা বা অস্বস্তির ভাব বেড়ে যায়—এ ধরনের ধারণাও ভুল।
তাহলে কিভাবে বোঝা যাবে একজন মহিলা কুমারী কি না? একমাত্র সঠিক উত্তর হলো: তার স্বীকারোক্তি। এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়, এবং তা নির্ধারণ করার অন্য কোনো বৈজ্ঞানিক বা বাহ্যিক উপায় নেই।
No comments